সুজন কৈরী : [২] করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে শুরু থেকেই মাঠে কাজ করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুধবার পর্যন্ত এক হাজার ১৫৩ জন পুলিশ সদস্য করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
[৩] মঙ্গলবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় পুলিশ সদস্যদের করোনা শনাক্তের কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) সোহেল রানা। [৪] ওই বার্তায় তিনি বলেন, পুলিশিং একটি ইউনিক প্রফেশন। এ পেশায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ রয়েছে। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পুলিশকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হয়েছে। খুব কাছ থেকেই এগুলো নিশ্চিত করতে হয়। পাশাপাশি যখন কোনো ব্যক্তি বা রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহণের সংকট থাকায় নিজেদের গাড়িতে করে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌছে দিচ্ছেন এবং চিকিৎসা পেতে সহায়তা করছেন পুলিশ সদস্যরা। এভাবেই করোনা রোগীর কাছে যাচ্ছি আমরা। [৫] দ্রব্যমূল্য, কালোবাজারি ও মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণেও পুলিশকে খুব কাছে থেকে কাজ করতে হচ্ছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা কোনো কারণে পোশাকশ্রমিকসহ অন্য পেশাজীবীরা জমায়েত বা বিক্ষোভ করছে, তখন সেগুলো ম্যানেজ করতে পুলিশকে জনসাধারণের মাঝখানে থেকে কাজ করতে হচ্ছে।
[৬] আসামিকে গ্রেপ্তারকালে স্পর্শ ছাড়া তাকে ধরা সম্ভব নয়। করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকার, জানাজা, দাফনে পুলিশকে যেতে হচ্ছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া কোরো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে খবর দেয় হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। [৭] সোহেল রানা বলেন, আমাদের কোনো সদস্য যখন আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন অন্য সদস্যের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সহজেই তৈরি হচ্ছে। যারা ব্যারাকে থাকেন, সেখানে স্বল্প স্পেসে থাকতে হচ্ছে। তবে এর মান উন্নয়ন চলছে। একসঙ্গে থাকায় করোনা পরিস্থিতিতে তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের নিরাপদ দূরুত্বে বিছানাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দেয়ার। তারপরও পেশাগত বৈচিত্রের কারণে বাড়তি কিছু ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এসব কারণে পুলিশের করোনা সংক্রমণের হার বেশি। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও