কিশোর সরকার : [২] এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে সম্মতি দেয়া হয়েছে। কীভাবে এ ট্রেন চালানো যায় সে ব্যাপারে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তর এবং রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হবে। ইতোমধ্যে গতকাল থেকে ভারত বিশেষ ব্যবস্থায় পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য পার্সেল ট্রেনে লোড করা শুরু হয়েছে। বাণিজ্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। [৩] গত ২৭ এপ্রিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সাথে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি চালু করার জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ২১ মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর ১মে থেকে সীমিত আকার চালু হয় আমদানি। কিন্তু ৩মে সুরক্ষা ও করোনার ঝুঁকির অজুহাত দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যশোর রোডে বনগাঁ থেকে পেট্টাপোল বন্দর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে ভারতীয় নারী পুরুষ ও শ্রমিকরা। এরপর থেকে বেনাপোল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
[৪] বিষয়টি আমলে নিয়ে ভারতের সাথে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মশলা ফলমূলসহ শিল্পকারখানার অতি জরুরি কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে ৪ মে ভারতীয় হাইকমিশন ভিডিও কনর্ফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের রেলপথ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্য বৈঠক করে। নিজ নিজ অফিসে থেকে এ ভিডিও কনর্ফারেন্সে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে এম মত পোষণ করেন। [৫] এক্ষেত্রে সীমান্ত স্টেশনে চালক ও গার্ড ইঞ্জিনের সাথে মালবাহী ওয়াগন ও পার্সেল স্পেশাল ট্রেন নিয়ে যেতে পরবেন। ইঞ্জিন পরিবর্তন করে র্যাক খুলে নেয়ার জন্য দুই ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন।
তবে করোনা সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এ-সময় উভয় দেশের ড্রাইভার ও গার্ড কেউ স্টেশনে নামতে পারবেন না। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও