[১]২০২৩ সালের মধ্যে খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে কমিটি
মো. আখতারুজ্জামান : [২] ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশ খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা নির্ধারণের কোনো বিধি নিষেধ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দীর্ঘদিন থেকে খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার জন্য বিষয়ে বলে আসছে। এ বিষয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাটি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] কমিটির সদস্য ও বিএসটিআইর সহকারি পরিচালক এনামুল হক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দুটি মিটিংও করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০২৩ সালের যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে আলোকে কাজ করে যাচ্ছি। [৪] তিনি বলেন, খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনলে যাতে ব্যবসায়ীদের কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সে সঙ্গে ভোক্তাদের যেন কোন সমস্যা না হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড মেনেই শীঘ্রই এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
[৫] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা।
[৬] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগীরা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। এছাড়াও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবারের কারণে স্ট্রোক এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
[৭] শিল্পো উৎপাদিত ট্রান্স একটি নীরব ঘাতক, যা বাজারে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে, অপরদিকে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণে খারাপ কোলেস্টেরল রক্তবাহী ধমনিতে জমা হয়ে রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারন। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাদ্যদ্রব্য যেমন, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, স্ন্যাক্স ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, বিস্কুট, কুকিজ, মার্জারিন এগুলোতে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও