[১]ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ শুরু করেছেন [২]সীমাবদ্ধতার মধ্যেই সাধ্যমত চেষ্টা চলছে, শিগগিরই ব্যবস্থাপনা ভাল হবে বলে আশা প্রকাশ
আমিরুল ইসলাম : [৩] করোনা শনাক্তদের চিকিৎসা হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক বার্ন ইউনিটে। সোমবার গভীর রাতে, আমি একজন সংবাদকর্মী, কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর এখানে ভর্তি হয়েছি। কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের রাখা হচ্ছে ভবনের ৫ তলায়, আমি আছি ৫০৩ নাম্বার কক্ষের ৯ নম্বর শয্যায়।
[৪] মঙ্গলবার সকালে একজন প্রফেসরের নেতৃত্বে ডাক্তার-নার্সরা এসেছিলেন। আমার জ্বর মাপা হয়েছে এবং চেক আপ শেষে ওষুধও দিয়েছেন। [৫] চিকিৎসার কোন ঘাটতি অনুভব করছি না। তবে দুটি সমস্যা উল্লেখ করা দরকার। [৬] একটি কক্ষে আমরা ১৫ জন রোগী, টয়লেট ২টি এবং এগুলো পরিচ্ছন্ন নয়। পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা ততোটা নেই। আমি একজন ডাক্তারের কাছে এর কারণ জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, কর্মী স্বল্পতার কারণে এটি হচ্ছে। [৭] কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব বোধ হচ্ছে। যথাযথ সময়ে পাচ্ছেন না, এটি আমার পর্যবেক্ষণ। কিছু হৈচৈ-ডাকাডাকির পর মিলছে কাক্সিক্ষত জিনিসটি। [৮] এ নিয়ে কথা বললাম একজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বললেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এখনো কো-অর্ডিনেশন ও মনিটরিং পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। তিনি আশা করেন, দু’চারদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অনুলিখন : শরীফ শাওন, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব, ভিক্টর রোজারিও