[১]‘অসীমের পথে জ্বলিবে জ্যোতি ধ্রুবতারকা’
প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ছিলেন অনন্ত আলোর দিশারী। অসীমের পথে পা দিয়ে তিনি আজ জ্যোর্তিময় ধ্রুবতারকা। কোভিড-১৯ এর কড়াল ধাবায় অকস্মাৎ তিনি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।
[৩] তাঁর মহাপ্রয়াণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও লেখক মফিদুল হক এবং ভারতের কলকাতার রিভার- বিদ্যাসাগর-রোকেয়া চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
[৪] মফিদুল হক বলেন, এতো দীর্ঘজীবনে, ধারাবাহিকভাবে এতো অবদান ইতিহাসে খুব কম মানুষই রাখতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসের বিশাল পথ পরিক্রমার পুরোটার সঙ্গে তিনি বিশেষভাবে জড়িত ছিলেন।
[৫] ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দেলনে তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
[৬] বাঙালির স্বকীয়তা, চেতনা, সংস্কৃতি, অসম্প্রাদায়িকতার মানস উঠে এসেছে তার লেখায়।
[৭] অজ¯্র ছেলে মেয়েকে তিনি তৈরি করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। তার ¯েœহ ও ভালোবাসা সবার জন্য ছিল। তার বুকের বিশালতাটা অনুমান করাটা দুঃসাধ্য।
[৮] মানুষ হিসেবে তিনি পরিপূর্ণ জীবন যাপন করে গেলেন। তার চলে যাওয়াটা অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি যে প্রেরণা ও শক্তি আমাদের দিয়ে গেছেন আমরা যেন তার মর্যাদা রক্ষা করতে পারি।
[৯] প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলাদেশের ও বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের অন্যতম পুরোধা। তরুণ বয়স থেকেই তিনি সহজাত জীবনবোধে আলোর পথযাত্রী।
[১০] বুলবুল একাডেমির তিনি শেষ জীবিত সদস্য ছিলেন। সংস্কৃতি আন্দোলন যে নতুন জাতিগঠন করতে পারে রবীন্দ্রনাথ নজরুল রোকেয়ার এই শিক্ষা ভাবনার সার্থক রূপকার বুলবুল একাডেমি।
[১১] আমার শিক্ষক ড. ধ্রুব জ্যোতি লাহিড়ী তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির পক্ষে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ পক্ষের প্রধান। পরে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন পদার্থবিদ ড. অজয় রায়।
[১২] দেশের সীমা পার হয়ে এই মুক্ত চেতনার দিশারী বাঙালির সকল শুভকর্মে প্রেরণা হয়ে থাকবেন।