[১]করোনা প্রভাবে কমেছে রেমিটেন্স, বাড়ছে কর্মী ছাঁটাই
প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] বিদেশ থেকে কর্মীদের ফেরত আসার ঢল। অভিবাসন খাতে এ ক্ষতি পোষাতে আগামীতে দক্ষ কর্মী পাঠানোর দিকে গুরুত্ব দেয়া কথা জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
[৩] চলমান মহামারীর ফলে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লক ডাউনে গোটা বিশ^। বিশেষ করে বাংলাদেশের বড় শ্রম বাজারগুলোতে লাখ লাখ প্রবাসী এখন বেকার। আছেন অর্থকষ্টে। অনেক দেশে খাদ্য সংকটেও ভুগছেন প্রবাসী কর্মীরা। আয় না থাকা দেশে টাকা পাঠানোও বন্ধ। ফলে সার্বিক রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে আশঙ্কাজনক হারে। [৪] গতবছর এপ্রিলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, সেখানে এবছর এপ্রিলে পাঠিয়েছেন ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
[৫] ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এই যে কমার অব্যাহত ধারা, সমানে ঈদের কারণে তা কিছুটা বাড়লেও সার্বিকভাবে এবছর রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২ শতাংশ কমবে বলে আশংকা করছে বিশ^ ব্যাংক। [৬] রেমিট্যান্স সঙ্গে ধস নেমেছে গোটা বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে। করোনার প্রাদুর্ভাবে আগে পরে মিলিয়ে ১০টি দেশ থেকে প্রায় ১ লাখ শ্রমিক এ পর্যন্ত ফেরত এসেছেন। আরও এ লাখ শ্রমিক দেশে ফেরার আশঙ্কা করছে মন্ত্রণালয়। এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে নতুন করে পরিকল্পনা নেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। [৭] সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, করোনা উত্তর সময়ে বিশ^ব্যাপী নতুন যে পরিস্থিতি আসবে সেখানে এখন ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন হচ্ছে তার চেয়ে ভিন্ন ধরনের দক্ষতা দরকার হবে। বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মীদের প্রস্তুত করার জন্য আমরা কারিকুলাম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করছি। সূত্র : বাংলাভিশন