[১]দশ বছরে মাথাপিছু আয় দ্বিগুন [২]চলতি অর্থবছর শেষে দাঁড়াবে ২,০৭৯ ডলার
সোহেল রহমান : [২] গত অর্থবছর শেষে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ১,৯০৯ ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৭০ ডলার। [৩] অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এটি সাময়িক হিসাব। আগামী অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে হিসাবটি চূড়ান্ত হবে।
[৪] পর্যালোচনায় দেখা যায়, মাথাপিছু আয় ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল ৯২৮ ডলার; ২০১১-১২-তে ৯৫৫ ডলার; ২০১২-১৩-তে ১,০৫৪ ডলার; ২০১৩-১৪-তে ১,১৮৪ ডলার; ২০১৪-১৫-তে ১,৩১৬ ডলার; ২০১৫-১৬-তে ১,৪৬৫ ডলার, ২০১৬-১৭-তে ১,৬১০ ডলার ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ১,৭৫১ ডলার।
[৫] বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, নিম্ন আয়ভুক্ত দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১,০৪৫ ডলার; নিম্ন-মধ্যম আয়ভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে ১,০৪৬ ডলার থেকে ৪,১২৫ ডলার; উচ্চ-মধ্যম আয়ভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে ৪,১২৬ ডলার থেকে ১২,৭৪৫ ডলার; উচ্চ আয়ের দেশের ক্ষেত্রে মাথাপিছু আয় হতে হয় ১২,৭৪৬ ডলারের বেশি। সে হিসাবে বাংলাদেশ বর্তমানে নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে রয়েছে। প্রতি বছর ১ জুলাই বিশ্বব্যাংক এই শ্রেণীকরণের তালিকা প্রকাশ করে থাকে।
[৬] এদিকে রূপকল্প ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ শীর্ষক প্রতিবেদনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২,৫০০ ডলারের বেশি। এ সময়ে হতদরিদ্রের হার কমে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৯.৯ শতাংশ।