[১]চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ২.৫ শতাংশ : সিপিডি
সোহেল রহমান : [২] সংস্থাটির মতে, যদি অর্থবছরের অবশিষ্ট দিনগুলোতে নতুন করে সাধারণ ছুটি আর ঘোষণা করা না হয় কিংবা অন্য কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হয়, তাহলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমতে পারে ৫.৭ শতাংশ। [৩] চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮.২ শতাংশ। এর বিপরীতে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ৫.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। অর্থাৎ সরকারের হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ কমতে পারে। [৪] সিপিডির মতে, তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নয়, চলমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জীবন রক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি হ্রাস করাই আগামী বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। একই সঙ্গে দারিদ্রতা ও বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নীতিনির্ধারণের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত।
[৫] সিপিডি বলেছে, জিপিডি পরিমাপের ক্ষেত্রে ১৫টি খাত ধরা হয়। এর মধ্যে করোনার প্রভাবে পাঁচটি খাত বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑউৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, পরিবহন এবং কমিউনিটি, সোশ্যাল ও ব্যক্তিগত সেবাখাত। [৬] সংস্থার মতে, করোনার অভিঘাতে সাধারণ পরিবারের আয় ৯ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে এবং এর ফলে দেশে দারিদ্রের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া বৈষম্যও কিছুটা বাড়তে পারে। [৭] ‘করোনা পরিস্থিস্থিতে নীতি নির্ধারণের চ্যালেঞ্জসমূহ ও বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিং-এ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’ (সিপিডি) এসব কথা বলেছে। সম্পাদনা : রেজাউল