[১]বাজেটে কালো টাকা বৈধতার অসাংবিধানিক সুযোগ নয়, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ চায় টিআইবি
মতিনুজ্জামান মিটু : [২]করোনাভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সচল এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোসহ বিনিয়োগে আকৃষ্টের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির নামে আসন্ন জাতীয় বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা সাদা করার সুবিধা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ।
[৩] অপর্যাপ্ত অর্থায়ন এবং দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যখাতের সত্যিকার উন্নয়নে অংশীজনের পরামর্শে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং করোনোর প্রভাবে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের জন্য কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানোর দাবিও টিআইবির। এসব খাতে সব ধরনের ক্রয়, বিতরণ, ব্যয় ও বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কার্যকর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের রোডম্যাপের ঘোষণা ও এর বাস্তবায়ন চায় সংস্থাটি।
[৪] করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নামে সরকারের এমন পরিকল্পনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় পরিসরে আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগই কেবল দেওয়া হচ্ছে না, বরং অর্থেও উৎস নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রশ্ন করার বিধানটিও উঠিয়ে দিতে যাচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। [৫] দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘শূন্য সহনশীলতার’ ঘোষণা আর দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদকে বৈধতা দেওয়া শুধু পরস্পর বিরোধীই নয়। বরং সরাসরি দুর্নীতি সহায়ক, অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক। বছরের পর বছর এই সুবিধা দিয়ে দেশের অর্থনীতির কোনো উপকার হয়নি, অথচ অনৈতিকতা প্রশ্রয় পেয়েছে আর সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।