[১]কোভিড-আম্ফানে যশোরে ফুলচাষিদের দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি, প্রণোদনা দাবি
রহিদুল খান ও বাবুল আক্তার : [২] ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ৭৫টি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় হরেক রকমের ফুল। [৩] ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পানিসারা, হাড়িয়া, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, পটুয়াপাড়া, সৈয়দপাড়া, মাটিকুমড়া, বাইসা, কাইবা, ফুলিয়া আর শার্শার নাভারন, উলাশি, গদখালী ও শ্যামলাগাছি গ্রামের প্রতিটি মাঠ এখনও ভরা ফুলে। শত শত হেক্টর জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজ জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ হয়েছে এখানে। [৪] বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির (বিএফএস) সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার গদখালী বাজারে ৯ রকমের ফুল বেচাকেনা হয়। এই মওসুমেই অন্তত তিনশ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
কিন্তু করোনা ভাইরাস আর আম্ফানের তা-বে এ বছর কমপক্ষে দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলচাষীরা।
[৫] তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একান্ত যোগাযোগের মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটা সেক্টরের ওপর ৪ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকার যে কৃষি প্রণোদনা ঘোষণা করেন, তা দ্রুত কৃষকদের হাতে পৌঁছালে তারা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
[৬] গদখালী পানিসারা এলাকার ফুলচাষি মিন্টু গাজী বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ করেছিলাম। কয়েক লাখ টাকা গোলাপ বাগানে বিনিয়োগ করা ছিল। ঠিক সেই সময়ে করোনাভাইরাস এলো। ফুল আর বেচতে পারলাম না।