[১]ব্যাপক করছাড় ও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বাজেট
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] বাজেটে ব্যয় ধরা করা হয়েছে ৫৬৮০০০ কোটি টাকা। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২০১৩ টাকা। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
[৩] ঘাটতি পূরণে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি ও বৈদেশিক ঋণ ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২০০০০ কোটি টাকা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে, ২ লাখ ৫১৪৫ কোটি টাকা। [৪] আ হ ম মোস্তফা কামাল বাজেট ভাষণে বলেন, ভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বে মহামন্দার পূর্বাভাস রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের প্রয়োজন মেটানো ও অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারের কৌশল হিসাবে এই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসৃজনে ব্যয় হবে।
[৫] বাজেটে ধনী-গরীব নির্বিশেষে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। ব্যাক্তিআয়ের করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি করে ৩ লাখ, নারীদের জন্য সাড়ে ৩ লাখ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন করহার কমিয়ে ৫ শতাংশ, সর্বোচ্চ করহার ৫ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। অনলাইনে কর প্রদান করলে প্রথমবার ২ হাজার টাকা কর ছাড় দেয়া হয়েছে। [৬] অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে জানান, করোনাভাইরাসে চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে ‘এই এক্সট্রা অর্ডিনারি টাইমে তিনি এক্সট্রা অর্ডিনারি মেজার নিয়েছেন’। এ জন্য জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট, শেয়ার বাজার, নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থÑপ্রায় সকল অপ্রদর্শিত সম্পদ ও অর্থ ১০ শতাংশ আয়কর দিয়ে বৈধ করা যাবে। এই অর্থ নিয়ে সরকারের কোনো সংস্থাই প্রশ্ন করতে পারবে না। এর ফলে অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থপ্রবাহ বাড়বে ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। [৭] গার্মেন্ট ও ছোট ব্যবসায়ও কর ছাড় দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টের উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ০৫ শতাংশ করা হয়েছে। নন লিস্টেড কোম্পানিগুলোর কর আড়াই শতাংশ কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। নিত্যপণ্যের আমদানিতে উৎস্যে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পের উৎস্যে কর কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। [৮] এর বাইরেও শুল্ক ও ভ্যাটে স্থানীয় শিল্পে ব্যাপক ছাড় দেয়া হয়েছে।