সুজন কৈরী : [২] ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২ লাখ টাকার মালামাল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। [৩] শুক্রবার রাতে কামরাঙ্গীরচরে রনি মার্কেটের ছয়তলা ভবনের বেজমেন্টে আগুন লাগে। প্রায় তিনঘণ্টার চেষ্টায় রাত দেড়টায় নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
[৪] ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মার্কেটের বেজমেন্টে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্লাস্টিকের গোডাউনে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। যার ভেতরে ঢোকা ও বের হওয়ার রাস্তা একটি মাত্র সরু সিঁড়ি। কোনো ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাও নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচ- বেগ পেতে হয়েছে।
[৫] স্থানীয় বাসিন্দা ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, বেজমেন্টে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্লাস্টিকের মালামাল থাকায় সহজেই ছড়িয়ে পরে আগুন। পুড়ে গেছে অনেক ব্যবসায়ীর মালামাল।
[৬] ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, মার্কেটটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে করা হয়েছে। বদ্ধ জায়গা ও আগুনে প্রচ- ধোয়া থাকায় ভেতরে প্রবেশেও বেগ পেতে হয়েছে। কর্মীরা পালাবদল করে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভবনটি বিল্ডিং কোড না মেনেই তৈরি করা হয়েছে। কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না। ভবনের মালিককেও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। কমিটি ঘটনার কারণসহ ভবন তৈরির বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখবে।
[৭] কামরাঙ্গিরচর থানার ওসি মোস্তফা আনোয়ার বলেন, ভবনের ভেন্টিলেশন সিস্টেম ভাল ছিল না। এজন্য ধোয়া বের করতে অনেক সময় লেগেছে।