মুসা আহমেদ : [২] করোনা মহামারী বিস্তার রোধে ইউরোপজুড়ে ডাকা হয় লকডাউন। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ। এতে এপ্রিলে শিল্পখাতে রেকর্ড পরিমাণ ধস দেখে ইউরো অঞ্চল। শুক্রবার এসব তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান কার্যালয় ইউরোস্ট্যাট। রয়টার্স
[৩] ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী ১৯টি দেশের শিল্পখাতের তথ্য প্রকাশ করে ইউরোস্ট্যাট। সংস্থাটি জানায়, ইউরো অঞ্চলে চলতি বছরের মার্চের এপ্রিলে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ধস হয়েছে ১৭.১ শতাংশ। বার্ষিক হিসেবে ধস হয়েছে ২৮ শতাংশ। যা ১৯৯১ সালের পর রেকর্ড ধস। [৪] এ বিষয়ে মর্গান স্টানলি ব্যাংকের অর্থনীতি বিশ্লেষক জ্যাকোব নেল বলেন, করোনা সঙ্কটে তলানিতে শিল্পখাত। উৎপাদনেও ধস হয়েছে ব্যাপকভাবে। ফেব্রুয়ারির চেয়ে উৎপাদন নেমে এসেছে ৭৩ শতাংশের নিচে। আশা করা হচ্ছে লাফিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ এ খাত। তবে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ থাবার আশঙ্কায় ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা। [৫] ভোক্তাপণ্যের উৎপাদন মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমেছে ২৮.৯ শতাংশ। বার্ষিক হিসেবে গেলো বছরের তুলনায় এবার কমেছে ৪৭.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, কাঁচামাল জাতীয় পণ্যে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমেছে ২৬.৬ শতাংশ। বার্ষিক হিসেবে কমেছে ৪০.৯ শতাংশ। [৬] ইউরো অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির গতবারের তুলনায় এবার শিল্পখাতে ধস হয়েছে ৩০.২ শতাংশ। এ অঞ্চলের দ্বিতীয় ও তৃতীয়তম দেশ যথাক্রমে ফ্রান্স ও ইতালির ধস হয়েছে ৩৪.৯ ও ৪২.৫ শতাংশ। সম্পাদনা : রেজাউল