ইমরুল শাহেদ : [২] কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে চলছে লকডাউন। এতে অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটা স্থবিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যবসায় আয় নেই বললেই চলে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আমপানও একটা বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে অর্থনীতিকে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। এসময়ে অর্থের প্রয়োজনে ঋণের জন্য ব্যাঙ্কে গেলেও অনেক সময়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে একাংশকে। ফলে ঝোঁক বাড়ছে স্বর্ণের গহনা বন্ধকী ঋণের দিকে। এর মধ্যে রয়েছে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ী, চাষি এবং সাধারণ গৃহস্থের। স্বর্ণের দাম চড়া থাকার সুযোগ নিয়ে দ্রুত ও যতটা সম্ভব বেশি নগদের ব্যবস্থা করে ফেলতে চাইছেন তারা। [৩] সংশ্লিষ্ট শিল্পের অনেকে বলছেন, গত প্রায় আড়াই মাস ধরে সংসার চালাতে গিয়ে ঘরে জমা থাকা অর্থ ফুরিয়ে গেছে। সূত্র : আনন্দবাজার
এবার লকডাউন শিথিল হওয়ায় আবার ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেজন্য নগদ পুঁজির প্রয়োজন। বোরো চাষে নামতে নগদ অর্থ দরকার কৃষকদেরও।
অগত্যা ধার ছাড়া পথ নেই। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার জন্য যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে বা নথি চাইছে, তা মানা বা দেওয়া অনেকের পক্ষেই কঠিন। ফলে বাড়ছে স্বর্ণ বন্ধক রাখার হিড়িক। তা ছাড়া ব্যাঙ্ক ঋণ নিতে যত সময় লাগে, তার থেকে সহজ গহনা বন্ধক রেখে ধার নেওয়া।