বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০৫৪ কোটি টাকা। যা চলতি বাজেটে ছিল ৯৯৩৭ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন বরাদ্দ মাত্র ১১৭ কোটি টাকা। অবশ্য চলতি বাজেটের অর্থ ব্যয় করতে না পারায় সংশোধন করে ৭৬৬৭ কোটি টাকা করা হয়েছে।
[৩] কিন্ত এই সময়ে স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তারা বেতন ভাতা অর্থাৎ অনুন্নয়নখাতে বরাদ্দের সবটাই খরচ করেন। বাজেট সংশোধন করে আরও বেতন ভাতা বৃদ্ধিও করা হয়েছে। [৪] বাজেট প্রস্তাবনা অনুযায়ি, চলতি বছরের বাজেটে বেতন ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ১০০০৮ কোটি টাকা। সংশোধন করে ১০৯৪৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।
[৫] বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মিলিয়ে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আরো ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে থোক বরাদ্দ হিসাবে। [৬] গবেষণা সংস্থা সিপিডির হিসাবে ২০১০ সালের বাজেট বরাদ্দের চেয়ে চলতি বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমেছে। ২০১০ সালে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। এবারে কোভিড পরিস্থিতিতে বাজেটের বরাদ্দ মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
[৭] অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্বের ৩০টি স্বাল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকরা স্বাস্থ্যে সবচেয়ে বেশি নিজ অর্থ খরচ করে। ২০১০ সালের পর এটি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কি পাকিস্তানের চেয়েও বেশি খরচ এখানে। পাকিস্তানে নাগরিকদের চিকিৎসায় ৬৫ শতাংশ অর্থ খরচ করতে হয়। আর বাংলাদেশে ৭২ শতাংশ।