মুসা আহমেদ : [২] করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সুইজারল্যান্ড। লকডাউনে অচল থাকে অর্থনৈতিক কর্মকা-। বাধাগ্রস্ত হয় উৎপাদন খাত। ফলে চলতি বছরে অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় বিপর্যয় দেখতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। রয়টার্স
[৩] মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকারি তথ্য সংস্থা। দেশটির অর্থনীতি বিষয়ক উপসচিব বলেন, করোনার কারণে এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাবে ৬.২ শতাংশ। যা ১৯৭৫ সালের পর প্রথম কোন বিপর্যয়। সেসময় তেলের ব্যাপক দরপতন হয়। অর্থনীতিতে ধস দেখে সুইজারল্যান্ড। [৪] অর্থনীতি বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়, করোনার প্রভাবে এ বছর বেকারত্ব বেড়ে দাঁড়াবে ৩.৮ শতাংশ। বৈদেশিক বাণিজ্যে ধস হওয়ায় ভোগ্যপণ্যের বাজারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তবে বিপর্যয় থেকে ধীরগতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। [৫] দেশটির সরকারের আশা, করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউ আশঙ্কা করে কঠিন পদক্ষেপ না নিলে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমান্বয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি। [৬] এ বিষয়ে মিরাবদ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ গেরো জাঙ্গ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। অতিদ্রুত করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয় সুইজারল্যান্ড। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ সহায়তা দিতে ৫৩.২২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। যা মোট জিডিপির ১০ শতাংশ। সম্পাদনা : রেজাউল