সোহেল রহমান : [২] একই সঙ্গে ফ্ল্যাটের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে প্রস্তাবিত বাজেটে নির্মাণ সামগ্রীর ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার এবং শহর কেন্দ্রীক আবাসন চাহিদার চাপ কমাতে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড বিকেন্দ্রীভূত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা। [৩] সম্প্রতি ‘কোভিড-১৯-এ আবাসন ব্যবসা খাতে প্রভাব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমন দাবি জানান ‘রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (রিহ্যাব) নেতারা। [৪] বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগ সুবিধা আরো সম্প্রসারণ করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সংগঠনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী তানভিরুল হক প্রবাল বলেন, আবাসন খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে সরকারের উচিত অতীতের ন্যায় ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণে উদ্যোগী হওয়া। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা বহাল থাকলেও সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণিরা তা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে বাজেটে পাঁচ-দশ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রখে মধ্যবিত্তের আবাসন সুবিধার জন্য তিন বা পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া যেতে পারে। [৫] তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নির্মাণ শিল্পর প্রতিটি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে করে আবাসন শিল্পের নির্মাণ ব্যয় বাড়বে। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ সুবিধার আওতা বাড়িয়ে আবাসনের পাশাপাশি দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার প্রস্তাব করছি।