সোহেল রহমান : [২] সম্প্রতি সংস্থার এক গবেষণায় এসব সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ প্রথমত জেন্ডার-সংবেদনশীল দক্ষতা বিকাশের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে এবং পরিবারের অর্থনৈতিক জ্ঞান এবং রেমিটেন্স পরিচালনার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। [৩] দ্বিতীয়ত শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়াতে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে করে স্বল্প দক্ষ অভিবাসী কর্মী আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে এবং ঋণের চক্র ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে পারে। [৪] তৃতীয়ত বিপদাপন্নতা হ্রাসে এবং আর্থিক স্বাধীনতার পথে সহায়তা প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যেন উন্নত ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং সঞ্চয়ের আনুষ্ঠানিককরণ নিশ্চিত হয়। [৫] চতুর্থত নারীদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক নীতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে করে অর্থনীতির পরিমাপ এবং টেকসই কৌশলসমূহ বিবেচনা করে সম্পদ উৎপাদন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। [৬] সর্বশেষ অভিবাসী এবং রেমিটেন্স প্রাপকদের জেন্ডার-সংবেদনশীল অর্থনৈতিক শিক্ষা এবং পরামর্শ দেয়ার জন্য পার্টনারশিপ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে আইওএম-এর গবেষণায়। [৭] আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন মন্দা-প্রভাবিত রেমিটেন্স নির্ভর মানুষদের সহায়তায় অধিক নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে তাদের পরিবার, বিশেষ করে নারীদের, অর্থনৈতিক শিক্ষা প্রদানে গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে করে রেমিটেন্স উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত হয় এবং রেমিটেন্স নির্ভর পরিবারগুলোর স্থিতিস্থাপকতা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তৈরি হয়। সম্পাদনা : রেজাউল