[১]বাজেটে পুরোনো গরিবের বরাদ্দ বাড়লেও নতুনদের জন্য কিছু নেই : সিপিডি
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] আহসান এইচ মনসুরের মতে করোনার ৪ মাসে নতুন করে বেকার হযেছে ৭০ লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তি। এরসঙ্গে জড়িত দেড় কোটি পারিবার এখন অর্ধাহারে বা অনাহারে আছে। তাদের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। হঠাৎ কর্মচ্যুতদের জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয় না। নতুনরা এসএমএস’র মাধ্যমে নিজেদের গরিব বলে ঘোষণা করবে। সরকার তাদের ন্যাশনাল আইডি, মোবাইল নাম্বার ও কর্মস্থলের সার্টিফিকেট দেখে সহায়তা করবে। এটি ১৫ দিনের মধ্যেই করা সম্ভব। [৪] বাজটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বরাদ্দ সরকারের আগের জিআর, কাবিখা, বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযোদ্ধাÑএধরনের ভাতা প্রাপ্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি, বলছেন অর্থনীতিবিদরা। [৫] ২৫০০ টাকা করে ৫০ লাখ লোককে একমাস অর্থ দেয়ার তালিকায় নতুনরা যুক্ত হয়নি। এখানে নগরের দরিদ্রদের নাম নেই। সামাজিক বাস্তবতায় সেখানে নতুনরা নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি। [৬] বর্তমান বাজার দরে চাল, ডাল, পিঁয়াজ, রশুন, মাছ, মাংস, ডিম, মরিচ. হলুদ, লবণ এসবের একটি হিসাব দিয়েছে সিপিডি। একটি ৪ সদস্যের পরিবারের মাসিক শুধু খাবার খরচ হিসাব করা হয়েছে ৬৭১০ টাকা। [৭] ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, প্রবাসী যারা বেকার হয়েছেন, সাংবাদিক, গার্মেন্ট শ্রমিক, ব্যাংক কর্মচারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারিÑযারা সেই অর্থে গরীব ছিলেন না। কিন্তু চাকরি হারিয়ে গরীব হয়ে গেছেন। তাদের ৬ মাস ৭ হাজার টাকা করে দেয়া দরকার।