॥[১]যাত্রী না থাকায় দেশের সব রুটেই লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হচ্ছে : লঞ্চ মালিক সমিতি
কিশোর সরকার : [২] রোববার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ যাত্রীপরিবহন (যাপ) সংস্থার সহ-সভাপতি বদিজ্জামান বাদল ফোনে বলেন, যাত্রী কমে যাওয়ায় লোকসানের কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পরছে মালিকরা। বিভিন্ন রুটে লঞ্চ কমিয়েও লোকসান কমানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি না করা হলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তবে লঞ্চ ধর্মঘটের কোন পরিকল্পনা নেই তাদের। [৩] বর্তমানে একশ কিলোমিটিার পর্যন্ত প্রতিকিলোমিটার ১টাকা ৭০ পয়সা এবং একশ কিলোমিটারের পর থেকে প্রতিকিলোমিটার ১ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারন করা আছে। [৪] গত ২৯ মে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে লঞ্চ মালিক সমিতির সাথে বৈঠকে ভাড়া বৃদ্ধির চাপ দেয়া হয়। ৩১ মে ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন হয়। কিন্তু ৪ জুন কমিটির প্রথম বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএর সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয় সর্বশেষ ভাড়া বাড়ানোর সময় চেয়ে তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা কম। কিন্তু পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে এই যুক্তিতে ভাড়া বাড়ানোর চাপ দিচ্ছেন মালিকরা। [৫] তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ ২০১৩ সালে ভাড়া বাড়ানো হয়। তখন তেলের দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ছিল। বর্তমানে তেলের দাম প্রতিলিটার ৬৫ টাকায়।
[৬] তবে সড়কের ন্যায় লঞ্চ ভাড়া বাড়ানো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন, যাত্রী কল্যান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, একবার ভাড়া বাড়ালে তা কমানোর নজির আমাদেও দেশে নেই। সম্পাদনা : শোভন দত্ত