[১]লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও রাজস্ব আদায়ে উচ্চাভিলাষী সরকার [২]তিন বছরে ১৩,০২,৫৬০ কোটি টাকা আদায় পরিকল্পনা
সোহেল রহমান : [৩] এনবিআরের রাজস্ব আয়ের এক উল্লেখযোগ্য অংশ আসবে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক থেকে। এই দুইখাত থেকে তিন বছরের আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে ৬ লাখ ২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। লক্ষ্য অর্জনে ভ্যাটের আওতা আরও বাড়ানো হবে।
[৪] অর্থ বিভাগের মতে, মধ্যমেয়াদে এই রাজস্ব আদায় করা সম্ভব। রাজস্ব খাতে গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিসমূহ এবং কোভিড-১৯ মহামারীর ক্ষতি পোষাতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি নাগাদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস স্থাপনসহ মূসক আইনের পূর্ণ প্রয়োগ এবং নতুন শুল্ক আইনের বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণ শক্তিশালী হবে।
[৫] যেহেতু এনবিআর প্রধান রাজস্ব আদায়কারী সংস্থা, মোট রাজস্ব আহরণের ধারণা পেতে এনবিআর কর উৎসগুলো থেকে রাজস্ব আহরণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। আগামী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আয় ও মুনাফা কর, শুল্ক কর এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক থেকে রাজস্ব আদায় বিদায়ী অর্থবছরের প্রকৃত আদায় থেকে যথাক্রমে ৩০.২ শতাংশ, ২২.৩ শতাংশ এবং ১৯ .৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। [৬] এনবিআর-এর একটি সূত্রমতে, মধ্য মেয়াদে রাজস্ব প্রাপ্তি লক্ষ্যমাত্রা বিদ্যমান রাজস্ব কাঠামো দিয়ে অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য রাজস্বখাতকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে। সম্পাদনা : রেজাউল