মুসা আহমেদ : [২] জার্মানিতে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল করতে শিথিল করা হয়েছে লকডউন। এরইমধ্যে জুনে দেশটির বেসসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো মন্থর গতিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউ শঙ্কায় সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির অর্থনীতি পরিসংখ্যান বিভাগ। রয়টার্স
[৩] এ বিষয়ে বিশ্ব অর্থনীতির তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা আইএইচএস মার্কিতের ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচক পিএমআইতে বলা হয়, জার্মানির নির্মাণশিল্প ও সেবাখাতে দুই তৃতীয়াংশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। মে মাসে সূচকে ৩২.৩ পয়েন্ট থেকে জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.৮ পয়েন্টে।
[৪] এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিল স্মিথ বলেন, জার্মানির নির্মাণশিল্প ও সেবাখাত আপাতদৃষ্টিতে বিপর্যয় এড়িয়েছে বলা যায়। তবে অর্থনৈতিক স্বাভাবিক অবস্থা থেকে তা বহু দূরে। দেশটির অশান্ত শ্রমবাজার ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্ম ছাঁটাই অব্যাহত থাকায় এ ব্যবসায় কালো মেঘের দেখা মিলছে।
[৫] দেশটির সরকার জানায়, করোনা মহামারীর প্রভাবে এ বছর অর্থনীতিতে ৬.৩ শতাংশ ধসে যাবে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।
[৬] মার্চের মাঝামাঝিতে করোনা মহমারীর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে দেশজুড়ে আরোপ করা হয় লকডাউন। চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় নির্মাণশিল্প ও সেবাখাত। তবে মে ও জুনে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অর্থনীতি। সম্পাদনা : রেজাউল