ইসমাঈল ইমু : [২] কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত। তবে থেমে নেই মাদক কারবার। বিশেষ করে রাজধানীর শাহআলী এলাকায় অন্য এলাকার চেয়ে বেশি মাদক বেচাকেনার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, করোনার কারণে আগের মত স্পট না থাকলেও মোবাইল কলে মিলছে মাদক। [৩] আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য, পুলিশের সোর্স, রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিয়ে তাদেরকে মাদক ব্যবসায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ সব ধরনের মাদক ওই এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মতো সহজ।
[৩] শাহআলী থানাধীন গুদারাঘাটের তুরাগ সিটি, রয়েল সিটি ও ৯ তলার সামনের এলাকায় রোকসানার নেতৃত্বে পিচ্চি খলিল, নুরজামাল, সোহেল টাকি, সাবনিল, নিশি, হনুফা ও হেনা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক বাণিজ্য। এইচ ব্লকের ৩ নম্বর রোডে বুচির নেতৃত্বে ব্যাঙ্গা বাবু, জাহাঙ্গির গাঁজার স্পট চালায়। এছাড়া থানার একশ গজের মধ্যেই সাথীর স্পটের কথা সবার জানা। তার সহযোগি হিসেবে রয়েছে, বিল্লাল, আনু ও পারভেজ। এর পাশেই সুমির নেতৃত্বে মাদক কারবারে সক্রিয় রয়েছে, কাউন্টার রাসেল, দাঁতভাঙ্গা রাসেল, মোল্লা সুমন ও ফতি। [৫] থানার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা নিয়মিত চাঁদা পেলেও মাদক বিক্রেতাদের আটক করার পর মোটা অংকের টাকায় ছেড়ে দেয়ার ঘটনার অবিযোগ রয়েছে।