[১]বাংলাদেশের ১২ প্রকল্পে ‘টাইট’ ঋণে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ চীনের
সাইদ রিপন : [২] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ঋণ ও অনুদান দিয়ে সহায়তা করে আসছে চীন। এরমধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবহন, রেলপথ, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে চীনের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
[৩] ইআরডি জানায়, চীনা অর্থায়নে এক লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। চীনা ঋণের সুদ ও শর্ত বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার চেয়ে অনেক কঠিন। চীন অর্থায়নে অনেক শর্ত জুড়ে দেয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২ শতাংশ সুদহার, যা সার্ভিস চার্জসহ পরিশোধ করতে হয় ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা ফি দশমিক ২ শতাংশ এবং প্রতিশ্রুতি ফি দশমিক ২৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় ২০ বছর (৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)। চুক্তি কার্যকর হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থাপনা ফি পুরোটা পরিশোধ বাধ্যতামূলক।
[৪] ইআরডির এশিয়া উইং প্রধান শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, চীনা ঋণকে টাইট ঋণ বলা হয়। চীনা প্রকল্পে ঠিকাদার, জনবল ও প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনতে হয়। এটা শর্তেই উল্লেখ থাকে। এজন্য দেশটির আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকা ও প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট জনবল না আসলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রভাব পড়বেই। শর্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ আপাতত নেই। সম্পাদনা : রেজাউল