[১]বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংকখাতে বিনিয়োগ সহায়ক নীতিমালা গ্রহণের নির্দেশনা
সোহেল রহমান : [২] সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
[৩] এতে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে সহজে বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে অর্থ জমা ও উত্তোলন এবং বিনিয়োগকৃত অর্থ-লভ্যাংশ নিজ দেশে সহজে প্রত্যাবাসন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির অন্যতম পূর্বশর্ত। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম-নিয়মনীতি সহজ ও যুগোপযোগী করা এবং এর বাস্তব প্রয়োগ প্রয়োজন। [৪] নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে চীন থেকে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ বা শিল্প প্রতিষ্ঠান অন্যত্র স্থানান্তরের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এ অঞ্চলের অনেক দেশ তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, কর ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহজতর করেছে। এই সুযোগ বাংলাদেশকেও কাজে লাগাতে হবে। [৫] আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সহজলভ্য দক্ষ শ্রমবাজার, বর্তমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা, উদীয়মান ও অবকাঠামোর ক্রমাগত উন্নয়ন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করছে। আমানতের সুদের হার বিদেশি ব্যাংকের তুলনায় অধিক হওয়ায় দেশীয় ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন সঞ্চয় স্কিমে তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে। কিন্তু স্কিমের মেয়াদ শেষে অর্থ উত্তোলন ও অর্থ প্রত্যাবাসনে তারা নানা জটিল প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হন, যা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করে। সম্পাদনা : রেজাউল