[১]যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার রিপোর্টের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ উন্নত অবস্থান অর্জন করেছে
শোভন দত্ত : [২] মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার সংক্রান্ত রিপোর্টের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নত অবস্থান অর্জন করেছে। বিদেশে অবৈধ অভিবাসন রোধে ঢাকার প্রয়াসের স্বীকৃতি দিয়ে মানবপাচার বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশগুলোর র্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশের বিষয়ে এ তথ্য জানানো হয়। [৩] বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি প্রকাশ করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আজ প্রকাশিত ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) শীর্ষক প্রতিবেদনে মানবপাচার রোধে বাংলাদেশের উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। [৪] এতে বলা হয়, ‘(বাংলাদেশ) সরকার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছে; সুতরাং, বাংলাদেশ টায়ার ২-তে উন্নীত হয়েছে।’ [৫] প্রতিবেদনের ২০ তম সংস্করণে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ পাচার নির্মূলের ন্যূনতম মান পুরোপুরি পূরণ করতে না পারলেও এ লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে- প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর। [৬] প্রতিবেদনে বিশেষত ২০০০ ইউএন টিআইপি প্রটোকল অনুসারে একটি কঠোর পাচারবিরোধী আইনের অধীনে সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করার জন্য মানব পাচারকারীদের শাস্তিযুক্ত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ করে মানবপাচার বিরোধী অভিযানের প্রশংসা করা হয়েছে। সূত্র : বাসস, জাগোনিউজ।