সাইদ রিপন : [২] করোনার আগে একদিন বয়সী লেয়ার বাচ্চার সাপ্তাহিক উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ। এখন উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ থেকে ১৪ লাখ। ডিমের দৈনিক উৎপাদন ছিলো ৪ দশমিক ৫ কোটি। এখন তা ৩ কোটিতে নেমে এসেছে।
[৩] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হ্যাচিং ডিম বাজারে চলে আসায় ঘাটতি চোখে পড়ছে না। তবে বাচ্চার উৎপাদন বাড়লে টেবিল এগ এর ঘাটতি দেখা দিবে। ব্রয়লার মুরগির মাংসের দৈনিক উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৭ টন। এখন কমে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ টন।
[৪] বিনিয়োগকৃত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল শেষ হয়ে গেছে। এ বিষয়টি জানিয়েছে, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্টাল কাউন্সিল (বিপিজিএমএ) বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ব্রিডাস অ্যেিসাসিশনের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
[৫] বিপিজিএমএ সভাপতি মশিউর রহমান বলন, জুলাই মাস নাগাদ পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাদের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৪০ লাখ থেকে ৫০ লাখ মানুষের জীবনেও দারিদ্র নেমে আসতে পারে। এ শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ২০ লাখ নারীর অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক অবস্থানও ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করেছে। অনেক ব্রয়লার খামার সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।