মুসা আহমেদ : [২] করোনায় প্রায় তিনমাস লকডাউনে ছিলো যুক্তরাষ্ট্র। মার্চ-এপ্রিলে ভোক্তাব্যয় রেকর্ড পরিমাণ ধস হয়। অবশেষে লকডাউন শিথিল হলে সীমিত আকারে ফের চালু হয় দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকা-। ফলে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ৮.২ শতাংশ বেড়ে যায় ভোগ্যণ্যের ব্যয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ-এপ্রিলে পুরোপরি লকডাউনে থাকে দেশ। বন্ধ থাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। চাকরি হারায় লাখ মানুষ। ধসে যায় ভোগ্যপণ্যের ব্যয়ে। মার্চে ৬.৬ শতাংশ ও এপ্রিলে ১২.৬ শতাংশ ধসের পর মে মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ এ খাত।
[৪] এ বিষয়ে শনিবার দেশটির বাণিজ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্যক্তিগত আয় ৪.২ শতাংশ কমলেও মে ব্যয় বাড়িয়েছে আমেরিকানরা। এদিকে এপ্রিলে ব্যক্তিগত আয় ধসে যায় ১০.৮ শতাংশ। তবে সরকারি এককালীন ১ হাজার ২০০ ডলারের প্রণোদনা ও বেকারভাতা সুবিধার কারণে এপ্রিলে মানুষের আয় লাফিয়ে বেড়ে যায়।
[৫] বলা হয়, অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো ভোক্তাব্যয়। ভোগব্যয় বেড়ে গেলে চাঙ্গা হয় অর্থনীতি। অন্যদিকে কমে গেলে মহামন্দায় পড়ে যায় অর্থনীতি। সাধারণ মানুষের এ ব্যয়ে নির্ধারিত হয় প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থনৈতিক কর্মকা-। মে মাসে এ খাতে মানুষের ব্যয় বাড়লেও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বড় ধস দেখছে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অন্তত ৩০ শতাংশ জিডিপির পতন হচ্ছে। সম্পাদনা : রেজাউল