[১]প্রতিমাসে দুগ্ধ শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মাছের উৎপাদন ভালো হলেও প্রান্তিক পর্যায় ক্রেতা শূন্য
সাইদ রিপন : [২] দেশে প্রতি দিন গড়ে দুই থেকে আড়াই কোটি লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু করোনায় দুধ বিক্রি ৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসায় প্রতিদিন ৫০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে খামারিদের। এছাড়াও দুগ্ধজাত পণ্যের বিক্রি কমায় সামগ্রিমভাবে এ ক্ষতি দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। [৩] মৎস অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফিশারি সেক্টর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অবদান ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জাতীয় প্রোটিন সেবনের ৬০ শতাংশ পাওয়া যায় মাছ থেকে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাত বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সাধারণত দেশের নদী, জলাশয়, মোহনা, বিল, প্লাবনভূমি, হাওর, বাওড়, জলাশয়ে মাছ উৎপাদন হয়। [৪] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে অভ্যন্তরীণ মিষ্টি পানিতে ২৬০টি এবং ২৪টি চিংড়ি প্রজাতির মাছ রয়েছ। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশ অবদান ছিল অভ্যন্তরীণ মৎস্যজীবীদের। এখন মোট মাছের উৎপাদনের প্রায় ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশই অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জল থেকে আসে। [৫] এ বিষয়ে বিশ^ব্যাংকের ঢাকা অফিসের পরামর্শক ও অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ খাতগুলো দেশের অর্থনীতির জন্য খবিই গুরুত্বপূর্ণ। কারন রফতানি ও উৎপাদন মূখী সব কলকারখানা বন্ধ থাকলেও এগুলোর উৎপাদন বন্ধ নেই। চাহিদাও রয়েছে। সম্পাদনা : শোভন দত্ত
যা মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পড়ে। ফলে এ খাতগুলোর বিষয়ে সরকারকে যথেষ্টগুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।