শরীফ শাওন : [৩] বিকেএমইএ সহসভাপতি হাতেম রেজা বলেন, আসছে ঈদেও থাকছে বোনাসের বিষয়, যেখানে বেতন দেওয়ার সুযোগ সীমিত। কারখানায় কাজ আছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ, শ্রমিক আছে ৭০ শতাংশ। বাকিদের বেতন কোথা থেকে দিব তাই নিয়ে শঙ্কায় আছি।
[৪] হাতেম রেজা বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ মাসে উৎপাদন সচল রাখতে বর্তমানে কার্যাদেশ প্রয়োজন। তবে বায়াররা এ পর্যন্ত এধরনের কোন আলোচনায় আসছে না। কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছি না।
[৫] তিনি বলেন, নিয়মিত বায়াররা বকেয়া বিল পরিশোধে ৬ মাস সময় নিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এবং তাদের কিছু কাজ চলমান থাকায় বাধ্য হয়ে রাজি হয়েছি। অন্যথায় এসকল কাজ হারাতে হবে।
[৬] বিজিএমইএ সহসভাপতি মশিউল আলম সজল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলো সচল রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। কার্যাদেশ কম থাকায় সকল শ্রমিক নিয়ে কাজ করানো যাচ্ছে না। কার্যাদেশ আসলেও তা উল্যেখযোগ্য নয়। আগামী মাস থেকে ফ্লাইটগুলো খোলা হলে কিছু কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
[৭] কারখানা মালিকদের দাবি, অর্ধেক কার্যাদেশ নিয়ে কারখানার বাদবাকি স্টাফসহ আনুসাঙ্গিক খরচ বহন করাই কষ্ঠসাধ্য হয়ে পড়েছে। গত ঈদে ঋণের টাকায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হলেও আগত ঈদে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে হতাশায় মালিকপক্ষ ও সংগঠনগুলো।