[১]মেস ভাড়া পরিশোধ না করতে পারায় শিক্ষার্থীদের সনদ মালামাল ভাগাড় ও গ্যারেজে ফেলে দিলেন বাড়িওয়ালা
সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর কলাবাগান ও ধানমন্ডির রাজাবাজারের দুটি বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বিভিন্ন ছুটে এসে গ্যারেজে ও ভাগাড়ে মালামাল ও সনদ খুঁজতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তোভুগীদের দুজন। [৩] জানা গেছে, রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় একটি বাড়ির একটি ফ্লাট ২৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে জগন্নাথ ও ঢাকা কলেজের ৯ জন শিক্ষার্থী থাকতেন। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে যান। বকেয়া পড়ে ভাড়ার টাকা। এজন্য কোনো নোটিশ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মালামাল কক্ষ থেকে বের করে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা মজিবুর হক ওরফে কাঞ্চন। [৪] এছাড়া রাজাবাজারের আলিফ ছাত্রবাসেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ওই হোস্টেলে বেসরকারি সোনাগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৩০ শিক্ষার্থী থাকতেন। কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউন চলাকালে দুই মাসের ভাড়া বকেয়া হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সব জিনিসপত্র ফেলে দেন গ্যারেজে। খবর পেয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসেন ছাত্ররা এবং গ্যারেজে গিয়ে খুঁজতে থাকেন তাদের মালামাল। [৫] ভুক্তভোগী ঢাকা কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব বলেন, ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা এমন অমানুষ হতে পারে আমার জানা ছিল না। সনদগুলো না পেয়ে আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। সম্পাদনা : শোভন দত্ত
বিনা নোটিশে নিজেই আমাদের জিনিসপত্র বের করে দিয়েছেন। আমাদের অগ্রীম দেয়া টাকা ফেরত না দিয়েই আমাদের বের কওে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের হুমকিও দেয়া হয় দফায় দফায়।
[৬] ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এসি আবুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। আলিফ ছাত্রাবাসের ঘটনায় হোস্টেলটির পরিচালক খোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ধানমন্ডির বাড়িওয়ালা মজিবুরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে অভিযান চলছে।