[১]রপ্তানি বিল পরিশোধের নীতিমালা শিথিল [২]বিলের বিপরীতে গ্যারান্টির সুযোগ রপ্তানিকারকদের
সোহেল রহমান : [৩[ করোনার পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
[৪] এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে বিকল্প কোনো উৎস থেকে রপ্তানিকারকদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণের জোগান অব্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংকগুলোকে বিকল্প হিসাব খুলে রপ্তানিকারকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়, ঘাটতি ও ঋণের আলাদা হিসাব রাখতে হবে। [৫] করোনার কারণে যেসব রপ্তানিকারকদের বিল দেশে আনতে দেরি হবে তাদের নীতিমালার বাইরে গিয়ে বিকল্প উৎস থেকে অর্থের জোগান দিতে হবে; যাতে রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকে। [৬] এতে যে ঝুঁকি থাকবে তার বিপরীতে রপ্তানিকারকের অন্য কোনো গ্যারান্টি দিতে হবে। যাতে একটি এলসি’র বিপরীতে রপ্তানি আয় কোনো কারণে দেশে আসা বিলম্বিত হলেও অন্য এলসি’র বিলগুলো দেশে আসতে পারে।
[৭] একই সঙ্গে করোনা সংকটের কারণে যেসব বিল সময়ের মধ্যে আসবে না সেগুলো দেরি হলেও যাতে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রয়োজনে আমদানিকারকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে হবে। তবে একাধিক এলসি’র ক্ষেত্রে এমন ঝুঁকি নেয়া যাবে না। [৮] এতে আরও বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রায় যে ঋণের জোগান দেবে তার বিপরীতে ৬ মাস মেয়াদি লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করে সুদ আদায় করা যাবে। এর চেয়ে বেশি সুদ আদায় করা যাবে না। সম্পাদনা : রেজাউল