[১]চীন, পাকিস্তান ও ভারত পিছিয়ে যাওযায় বিশ্ব বাজারে আলু রপ্তানিতে বাংলাদেশের কোনো প্রতিযোগী নেই
মতিনুজ্জামান মিটু : [২] বেশি দামের কারণে বিশ্ববাজারে চীন, ভারত ও পাকিস্তানের আলুর চাহিদা কমেছে। এ সুযোগে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি আলু মধ্যপ্রাচ্যসহ ১৩টি দেশে রপ্তানি করেছেন। বাংলাদেশ থেকে আলু নেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকরা। [৩] করোনায় চীনের রপ্তানি বন্ধ হওয়া, বিরূপ আবহাওয়ায় পাকিস্তানি আলুর সরবরাহে ঘাটতি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতে আলুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। দেশে আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯ ভাগ হারে বেড়ে কোটি টন ছাড়িয়েছে। দেশে আলুর ব্যবহার ৭০ লাখ টনের মতো। বাকী ৩০ লাখ টন বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর অপেক্ষায় থাকে। [৪] ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ব্রুনাই, কুয়েত, ওমান, কাতার, হংকং, ভিয়েতনাম,বাহরাইন ও মালদ্বীপে রপ্তানি হয়েছে ৩১ হাজার ২৭৭ দশমিক ৫৯ টন আলু। আরও ৫শ টনের ওপরে আলু রপ্তানি করার জন্য অনুমতিপত্র চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ রপ্তানির ৮০ ভাগই গেছে এককভাবে মালয়েশিয়ায়। বাকিটা সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ব্রুনাই ও কুয়েতসহ ১৩টি দেশে। [৫]২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩১ হাজার ৮৯ টন। বাংলাদেশ থেকে ৪ জাতের আলু রপ্তানি হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে গানালা, মানিলা, ডায়মন্ড ও রেড পটেটো। সূত্র : বাংলার আলো। সম্পাদনা : শোভন দত্ত