[১]বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫ পাটকলের সম্পদ মূল্য নির্ধারণ [২]পিপিপি বা ইজারার ভিত্তিতে চালুর সিদ্ধান্ত
সোহেল রহমান : [৩] সম্প্রতি বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো পুনঃচালুর বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্স-এর প্রথম সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। [৪] বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পাটকলগুলো পুনরায় চালু করতে আলাদাভাবে ২৫টি মিলের অবস্থান, মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, অ-বিক্রীত পাটপণ্য ও মজুদ কাঁচামালের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। বন্ধ ঘোষণার পর মিলগুলো বর্তমানে মিল কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ নিরাপত্তা দলের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
[৫] সূত্রমতে, প্রাথমিকভাবে পাটকলগুলো ‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব’ (পিপিপি)-এর আওতায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সব পাটকল এ পদ্ধতিতে চালু করা কিংবা সব মিলের জন্য একই রকম সিদ্ধান্ত না-ও হতে পারে। সম্পদ মূল্যায়নের পর টাস্কফোর্স যদি মনে করে কিছু মিল চালু না করে অন্য শিল্পকারখানা স্থাপন লাভজনক হবে, তবে সেটাই করা হবে। [৬] সর্বশেষ হিসাবে বিজেএমসি’র মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। এদিকে আয় ও উৎপাদন কমলেও নতুন নিয়োগ বন্ধ হয়নি। প্রতিবছরই বাড়ছে সংস্থার জনবল। [৭] সংস্থাটির মতে, লোকসানে থাকার বড় কারণ হচ্ছে কর্মীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি। প্রতিবছর ইনক্রিমেন্টের কারণে বেসরকারি পাটকল শ্রমিকদের তুলনায় বিজেএমসি’র শ্রমিকদের বেতন অন্তত তিনগুণ। এছাড়া কাঁচা পাট ক্রয়েও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ায় উৎপাদন ক্ষমতা কমেছে অর্ধেক। বিপণন নেটওয়ার্কেও রয়েছে দুর্বলতা। ফলে বাণিজ্যিকভাবে মুনাফার কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্পাদনা : রেজাউল