[১]প্রণোদনা ঋণ তহবিল বাস্তবায়ন [২]বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আসন্ন মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য
সোহেল রহমান : [৩] বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর ওপর বিশেষ জোর দেয়া হবে।
[৪] জানা যায়, মঙ্গল কিংবা বুধবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হবে। তবে এবারও এক বছর মেয়াদে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এর আগে বছরে দুই বার মুদ্রানীতি (জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর) ঘোষণা করা হতো। কিন্তু বিশেষ তাৎপর্য নেই বলে গত অর্থবছর থেকে একটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে। [৬] চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আশা করছে সরকার। [৭] অর্থনীতিবিদদের মতে, মুদ্রানীতি নির্ভর করে রাজস্ব নীতি, লেনদেন ভারসাম্য নীতি ও ব্যক্তি খাতে ঋণ সরবরাহ নীতির ওপর। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনে মুদ্রানীতি এবং উল্লেখিত নীতিগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন। আর মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন নির্ভর করে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়ন স্তর এবং এর দক্ষতা ও বিরাজমান সুশাসনের ওপর। করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে আর্থিক পরিধির বিস্তৃতি ঘটেছে, তা থেকে মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের চাপ সৃষ্টি হতে পারে।