[১]চিত্রশিল্পের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী সাধক ছিলেন এস এম সুলতান
ইয়াসিন আরাফাত : [২] বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৪ সালের এদিন তিনি নড়াইল মহাকুমার মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিল্পের প্রতি অনুরাগ, শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ,বন্য জীবজন্তু পশু-পাখির প্রতি ভালবাসা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়াস, ভোগবাদী জীবনের প্রতি অবহেলা, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সর্বোপরি চিত্রশিল্পে সতন্ত্রতা তাকে নিয়ে গেছে অন্যতম উচ্চতায়। নিজের শিল্পকর্মের জন্য দেশ জাতির গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ববরেন্য চিত্রশিল্পী হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
[৩] এস এম সুলতান পেয়েছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ নিউ ইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার। ১৯৮২ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন তিনি। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান সুলতান। [৩] ১৯৪৫ সালে ভারতের সিমলায় তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী হয়। ১৯৫০ সালে আমেরিকায় চিত্রশিল্পীদের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। পরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি একক ও যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। পাবলো পিকাসো, সালভেদর দালি, পল ক্লী প্রমুখদের ছবির পাশে সুলতানই এশিয়ার একমাত্র শিল্পী যার ছবি এসব প্রদর্শনীতে সুযোগ পায়।
[৪] ১৯৫৩ সালে নড়াইলে ফিরে আসেন সুলতান। ১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই ‘দি ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন।