শোভন দত্ত : [২] মিয়ানমারে নিয়োজিত জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কর্তৃপক্ষের প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকের কাছ থেকে তদন্ত কাজে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ’ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগের পক্ষে আলামত হাজিরের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা পালন করছে না। তবে ফেসবুকের কাছ থেকে কোন কোন ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি নিকোলাস। এ ব্যাপারে ফেসবুকের মন্তব্য জানতে চেয়ে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স।
[৩] জাতিসংঘের তদন্তকারীদের অভিযোগ, ঘটনার সময় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। আর সেসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্যই সহিংস পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করে তুলেছে। কোম্পানিটি বলছে, তারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থামাতে কাজ করছে এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলো ডিলিট করে দিয়েছে। তবে ওইসব অ্যাকাউন্টের ডাটাগুলো সংরক্ষিত আছে বলেও দাবি করেছে ফেসবুক। [৪] আইআইএমএম-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিকোলাস কুমজিয়ান। সোমবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, ফেসবুকের কাছে মিয়ানমারে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পক্ষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সম্ভাবনাময় কিছু আলামত আছে। তবে বছরব্যাপী আলোচনার পরও তারা কোনও কিছুই শেয়ার করছে না। [৫] ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন পর্যন্ত ফেসবুকের কাছ থেকে আমরা কোনও ম্যোটেরিয়াল হাতে পাইনি। তবে আমাদের আলোচনা চলছে এবং আশা করছি, শেষ পর্যন্ত আমরা গুরুত্বপূর্ণ এসব আলামত হাতে পেয়ে যাব।’ বলেন নিকোলাস। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, বাংলাট্রিবিউন।