নদীর চরিত্র বুঝে ঘরবাড়ি অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে, আর কোনো সøুইচ গেট নির্মাণ করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : ভাঙন থেকে রক্ষা করতে নদীর পাড়ে হুমকির মুখে থাকা স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাগুলোকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশে আর কোন স্লুইচ গেট নির্মাণ না করে সারদেশে এখন পর্যন্ত কতগুলো স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে এবং কয়টা চলমান আছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন বা আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক জায়গায় নদী বড় বড় বিল্ডিং চোখের সামনে খেয়ে ফেলেছে। কয়েক দিন আগে ছবি দেখলাম কোন চ্যানেলে, সুন্দর একটা নতুন প্রাইমারি স্কুল একদম তরতাজা, কিছুক্ষণের মধ্যে খেয়ে ফেলল নদী। এটা প্রায়ই হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন, যে নদীর পাড়ে ঘরবাড়ি বানাই, সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে, কোথায় বানাচ্ছি। বানিয়ে চলে গেলেন, নদী ভেঙে নিয়ে গেল। এটা ঠিক না। প্রধানমন্ত্রীর ধারণা যে, সবার সাথে সমন্বয় করতে হবে। নদীর চরিত্র বুঝতে হবে। জেনেশুনে নির্মাণ করতে হবে। আরও মোস্ট ইমপোর্টেন্ট, সবজায়গায় সবকিছু নির্মাণ করা যাবে না। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুন্সিগঞ্জে দেখা যায় টিনের বাড়ি দোতলা। সুন্দর একতলা, দোতলা। কারণ, তারা পদ্মার পাড়ে বাস করতো। পদ্মা ভাঙার সময় আসলে তারা উঠিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দিতে পারবে। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনারা মডেল ডেভেলপ করেন। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কলেজ এগুলো যাতে গাঙ্গের পাড়ে, নদীর পাড়ে যেগুলো হুমকির সম্মুখীন, সেগুলো আমরা যেন তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিতে পারি। যাতে করে গোটা বিল্ডিং না খেয়ে ফেলে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, স্লুইচ গেটের জন্য আমার এলাকার মানুষও অস্থির হয়ে যাই। অভিজ্ঞতা হল, বেশির ভাগ স্লুইচ গেট কাজ করে না। এগুলো নামলে উঠে না, উঠলে নামে না। বানিয়ে চলে যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড যারা বানায়, এটা রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যথাযথ স্টাডি করে না। তাঁর আরেকটা পর্যবেক্ষণ, ইতিমধ্যে আমাদের দেশে পানির প্রবাহ কমে গেছে আগের তুলনায়। ফারাক্কা বাঁধ, জলবায়ু ইত্যাদি কারণে এখন কম পানি যায়। মাঝে মাঝে শক্তিশালী বন্যা হয়ে যায়। সাধারণত কম পানি আসে। সুতরাং স্লুইচ গেট বিশেষ দরকার নয় বলে মনে করেন তিনি। স্টাডি করার জন্য অর্ডার দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী। দেশে আর যেন কোন স্লুইচ গেট না করা হয়, এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বন্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়ে বলেছেন, বন্যা শুধু বিপদ না, সম্পদও বটে। বন্যা আমাদেরকে পলি দেয়, বন্যার পানি ধুয়েমুছে ময়লা সাফ করে নিয়ে যায়। সুতরাং বন্যার সঙ্গে আমরা যেন এডজাস্ট করে চলি। এটাকে যেন আমরা শত্রু মনে না করি। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলো ড্রেজিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। রেজা