এসআই রাজ : করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পূর্বে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি ছিল ২০০ টাকা, যা নতুনভাবে করা হচ্ছে ১০০ টাকা এবং বাড়িতে নমুনা পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে করা হচ্ছে ৩০০ টাকা। এই ফি আগামী দুই একদিনের মধ্যেই কার্যকর করা হবে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফি কেন কমানো হলো এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় মানুষ যাতে বেশি পরীক্ষায় অংশ নেয় এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি দেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে করোনা পরীক্ষার এই নতুন ফি নির্ধারণ করে দেন।দেশে ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ সব দেশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে ভ্যাকসিনের গুণগত মান, সহজলভ্যতা, কার্যকারিতা বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে বর্তমানে ৭০ ভাগ শয্যা খালি পড়ে থাকছে। এতে করে সেখানে বহুসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স কর্মহীন বসে থাকছে। কাজেই যে সকল হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একেবারেই কম সেগুলোকে নন-কোভিড হাসপাতালে পরিণত করতে সরকার কাজ করছে। এতে নন-কোভিড রোগীরা আরও বেশি উপকৃত হবেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুরু থেকেই করোনার পরীক্ষা হচ্ছিল বিনামূল্যে। কিন্তু গত ২৯ জুন থেকে করোনার পরীক্ষা করার জন্য ফি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, সরকারের অনেক খরচ হচ্ছে। একটা টেস্ট করতে বেসরকারিভাবে আমরা বেঁধে দিয়েছি তিন হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু আসলে ল্যাব বসানোর খরচ, যন্ত্রপাতির খরচ এগুলো যদি ধরা হয় আরও বেশি পড়ে সেক্ষেত্রে। এখন তো টেস্টের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারের কাছে চলে গিয়েছে, প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন, বার্তা ২৪।