অনলাইনে বিক্রি দ্বিগুণ রেকর্ড আয় ওয়ালমার্টের
বিশেষ প্রতিনিধি : লকডাউনে গৃহবন্দি থাকে মানুষ। করোনা আতঙ্কে খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হয়নি অনেকেই। আবার সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে কেনাকাটা সেরেছেন অনেকেই। ফলে করোনাকালে প্রত্যাশার চেয়ে বেড়ে যায় অনলাইনে পণ্য বিক্রি। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম খুচরা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টে দ্বিতীয় প্রান্তিকে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে। এদিকে প্রণোদনা প্যাকেজের সদ্ব্যবহারে মঙ্গলবার রেকর্ড আয় অর্জন করে ওয়ালমার্ট। যা ৩১ বছরেও দেখেনি আন্তর্জাতিক এ প্রতিষ্ঠানটি। সিএনবিসি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটির বিভাগীয় বিপণিবিতানগুলোতে অফলাইনে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রি বেড়ে যায় ৯.৩ শতাংশ। অন্যদিকে কার্বসাইড পিকআপসহ অনলাইনে একই দিনে ডেলিভারি সুবিধা থাকায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রি বৃ্দ্িধ পায় ৯৭ শতাংশ। যা বিক্রি বৃদ্ধির একটি বিশাল রেকর্ড।
গতবারের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির নিট আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৪৮ বিলিয়ন ডলারে। শেয়ারপ্রতি মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ২.২৭ ডলার। তবে গেলো বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ নিট আয় ছিলো ৩.৬১ বিলিয়ন ডলার। সেসময় শেয়ারপ্রতি আয় হয় ১.২৬ ডলার। অন্যদিকে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ১.৫৬ ডলার। যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশিত হার ১.২৫ ডলারের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদেনে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট আয় ৫.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৭.৭৪ বিলিয়ন ডলারে। যা প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশিত আয় ১৩৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কিছুটা বেশি। তবে গেলো বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ আয় ছিলো ১৩০.৩৮ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় প্রান্তিকে অফলাইনে গ্রাহকরা বার বার কেনাকাটার চেয়ে একবারে বেশি পরিমাণ কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে গড় টিকেট বেড়ে যায় ২৭ শতাংশ। তবে লেনদেন কমে যায় ১৪ শতাংশ। তবে ভারত, আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বিক্রি কমে যায় অনেকাংশে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির নিট বিক্রি ৬.৮ শতাংশ ধসে দাঁড়িয়েছে ২৭.২ বিলিয়ন ডলারে।
ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহী ডগ ম্যাকমিলন বলেন, মেম্বারশিপ সেবাযুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি আরও আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। এ কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে ওয়ালমার্ট প্লাস। তবে কখন থেকে এ সেবা চালু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এটি অ্যামাজন প্রাইমের সঙ্গে টক্কর দিবে সেটা নিশ্চিত।
ম্যাকমিলন বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রাহকদের ডেলিভারি ও কার্বসাইড পিকআপ সেবা আরো বেড়ে যাবে। এতে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তিনি বলেন, সরবরাহ শৃঙ্খল ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ওয়ালমার্টের সেবা কার্যক্রম দিন দিন উন্নত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কেবল করোনা মোকাবেলাতেই দেড় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ওয়ালমার্ট। দ্বিতীয় প্রান্তিকে অনলাইন সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য ৪ লাখেরও বেশি খ-কালীন কর্মী নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। রেজা