আসিয়ানের উদ্যোগকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছি : ভারতীয় হাই কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সুবিধার্থে আমাদের সীমান্তগুলোতে যাতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা বের করে আনা যায় সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন শাখাসহ কাজ করছি। সেই সঙ্গে এফবিসিসিআই, আইএমসিসিআই, সিসিসিআই-এর মতো সংগঠনগুলোর সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শুক্রবার বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশন এবং ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য আমরা মন্ত্রিসভা পর্যায়ে বেশ কয়েকটি নতুন রুটের অনুমতি নিয়েছি, এমনকি যা আমরা নেপাল, মায়ানমার, চীন এবং প্রতিবেশী অন্যান্য অঞ্চলেও প্রসারিত করছি। তবে ভারত সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে আমাদের পাশে ছিল। আমাদের সহযোগিতামূলক একতাই পূর্বের বাণিজ্যকে আসিয়ানের মতো শক্তিশালী করতে পারে। এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বিশ্বে এমন অন্য আর দুটি দেশ নেই, যারা আমাদের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধনে আবদ্ধ। কোভিড-১৯ সংকট কমিয়ে আনা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে করনীয় বিষয়ে উভয় দেশের যোগ্য নেতৃত্বের মূল্যবান ভাবনাই আমাদের বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, স্থলবন্দরে যখন বাণিজ্য চলাচল বন্ধ ছিল তখন পেট্রাপোল-বেনাপোল, রাধিকাপুর-বিরল, গেদে-দর্শনা এবং রহনপুর-সিংহাবাদ এই চারটি রেল যোগাযোগের মাধ্যমে বৃহত্তর কার্গো চলাচল বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে।
ফজলে ফাহিম বলেন, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ট্রেড ও ট্রানজিট প্রোটোকলের দ্বিতীয় সংযোজনী দ্বারা চালু হওয়া জল সংযোগটি সোনামুড়া-দাউদকান্দি ও রাজশাহী-গোদাগীর-ধুলিয়ানের মধ্যে আরিচা পর্যন্ত বর্ধিত অতিরিক্ত সংযোগ এবং পোর্টের আরও পাঁচটি অতিরিক্ত পোর্টস অব কল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। যার ফলে, গার্ডেন রিচ কলকাতা থেকে একটি চালান পানগাঁও পৌঁছেছিল মাত্র ৭ দিনেই।