করোনাকালে নানা সুবিধার পরও বাড়ল খেলাপি ঋণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না খেলাপি ঋণের। করোনাকালিন নানা সুযোগ সুবিধার পাওয়ার বেড়েছে এই মন্দ ঋণের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করে ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ গ্রাহককে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। এতো বড় ছাড়ের পরেও ব্যাংকিং খাতে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। চলতি বছরের মার্চ-জুনে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ হিসাবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ছিল ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সেই হিসাবে গত বছরের জুনের তুলনায় এ বছর জুনে, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৬ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের ১৬ মে নীতিমালায় এ ছাড় দেয়ার পর থেকে বিশেষ বিবেচনায়সহ গেল বছর পুনঃতফসিল হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ। এত সুবিধা নেয়ার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমছে না।