ফ্রান্সে আগস্টে বেড়েছে ভোক্তা চাহিদা
বিশেষ প্রতিবেদক : বিপর্যয় কাটিয়ে এরইমধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ফ্রান্সের অর্থনীতি। লকডাউনে কর্মী ছাঁটাই বাড়লেও শিথিলের পর ফের বেড়েছে নিয়োগ। এদিকে জুলাইয়ের মত আগস্টেও ভোক্তা মনোভাব অটল রয়েছে দেশটিতে। ফলে খুচরা বাজারে ভোগব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা আইএনএসইই। রয়টার্স
সংস্থাটির ভোক্তা মনোভাব সূচকে আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৯৪ পয়েন্টে। যা জুলাইয়ের মতই, কোন পরিবর্তন নেই। এ সূচকটি অনেকটা মিলে যায় রয়টার্স জরিপের ১৪ জন অর্থনীতি বিশ্লেষকের করা পূর্বাভাসের সঙ্গে। এদিকে বেকারত্ব নিয়ে পারিবারিক উদ্বেগ কমতে শুরু করেছে দেশটিতে। চলতি বছরের এপ্রিলের পর আগস্টে বেকারত্ব দুশ্চিন্তা কমে দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্নে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে কঠোর লকডাউনে যায় ইউরো অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি। বন্ধ হয়ে যায় অর্থনৈতিক কর্মকা-। এতে বেকারত্ব বেড়ে যায় হু হু করে। চাকরি হারানো নিয়ে দুশ্চিন্তাও দাঁড়ায় আকাশচুম্বী। তবে করোনা পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় ১১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হয় লকডাউন। চালু হয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বাড়তে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগ।
তবে এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থায়ীভাবে চাকরি ধরে রাখতে বেতন সহায়তা কর্মসূচি চালু করে দেশটির সরকার। ফলে করোনায় স্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপক বেকারত্ব এড়াতে সক্ষম হয় ফ্রান্স। এতে করে সাধারণ অর্থনৈতিক কর্মকা- অনেকটা স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তবে এ কর্মকা- জরিপ বিশ্লেষকদের দীর্ঘমেয়াদি গড় প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। তবে লকডাউনের সময় অনেক মানুষের মাঝে অর্থ সঞ্চয়ের প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। ফলে খুচবা বাজারে সেসময় ভোগব্যয় অনেক কমে যায়।
দেশটির সরকারি তথ্যমতে, লকডাউনে রেঁস্তোরা-শপিংমল বন্ধ থাকায় দেশটিতে পারিবারিক খরচ বেঁচে যায় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ইউরো। এদিকে চলতি বছরের প্রথমার্ধে অর্থনীতিতে বড় ধস দেখে ফ্রান্স। ফলে ধস কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ভোগব্যয় বাড়ানোর বিকল্প দেখছে না দেশটির সরকার। ফলে ভোক্তাদের ব্যয় প্রবণতা বাড়াতে প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে ফ্রান্স। রেজা