ছয়দফা সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব চিন্তার ফসল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরেই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
অর্থনীতি ডেস্ক : বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন এই অনুষ্ঠানে।
তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্ততার করা হলো এবং পরে তিনি ১৯৫৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পান। সে সময় ঢাকার বাইরে যেতে পারতেন না। তখন তিনি একটা আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি নেন। তাজউদ্দীন সাহেবও গ্রেফতার ছিল মুক্তি পেয়ে তিনিও একটা চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজে গিয়ে তাজউদ্দীন সাহেবকে নিয়ে আসলেন এবং আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি দিলেন। মোহাম্মদ হানিফ তাকেও চাকরি দেন তার পিএ হিসেবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজে বসে বসে চিন্তা করতেন নিজেই লিখতেন এবং হানিফকে দিয়ে টাইপ করাতেন। এখানে শুধুমাত্র হানিফ জানত, সেই টাইপ করেছিল এছাড়া কিন্তু আর কারো জানা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব চিন্তা থেকে ৬ দফা তৈরি করা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করা যেত না। যা যেতে তা পাকিস্তান হয়েই যেতে হবে। অর্থাৎ তৃণমূলের মানুষের কোনো অধিকারই ছিল না। কেউ বৈদেশিক বাণিজ্য করতে পারত না, বঞ্চিত ছিল সেখান থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ছয়দফা দাবি দেওয়া পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন আবার পশ্চিম পাকিস্তানি কিছু নেতা আর আমাদের দেশে সব সময় একটা দালাল শ্রেণি পাওয়া যায় তারা তাদের সাথে হাত মেলালো। তারা আবার ওখানে ছয়দফার বদলে আট দফা নিয়ে হাজির। তখন আব্বা জেলে আমার মা এ ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। আমাদের অনেক জেলার বড় বড় নেতারা বা কেন্দ্রীয় নেতারা সেই ৬ দফাকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন যেটা সত্যিই খুব লজ্জাজনক।