তিন-চার মাস পরপর টিকফার ইন্টারসেশনাল সভার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের
সোহেল রহমান : মঙ্গলবার রাতে অনলাইন প্লাটফর্মে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে স্বাক্ষরিত ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট’ (টিকফা)-এর পঞ্চম ইন্টারসেশনাল সভায় এ প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সভায় বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন-এর নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিসটেন্ট ‘ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া’ ক্রিস উইলসন-এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ গ্রহণ করে। টিকফার ৬ষ্ঠ ইন্টারসেশনাল সভা যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছেন, করোনাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেয়া হলে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহযোগিতা করবে।
সভায় বাংলাদেশের স্থগিতকৃত জিএসপি সুবিধা পুনঃরায় চালুর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, পূর্বে ঘোষিত বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন জিএসপি সুবিধা প্রদান প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। পরবর্তী প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশ-কে জিএসপি সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও হেল্থ প্রোডাক্ট রপ্তানি, ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য মেডিকেল সামগ্রী উৎপাদন, শিল্প-কারখানা বাংলাদেশে রি- লোকেশন, কারিগরি সহযোগিতা বাড়ানোসহ বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সভায় বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য সহজে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির সুযোগ এবং তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্প কমানোর আহবান জানানো হয়। পাশাপাশি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত সুযোগ-সুবিধাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীগণকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা নিরসনে আলোচনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা করা হয়।
অন্যদিকে সভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির জটিলতা নিরসন, ই-ওয়াস্ট রেগুলেশন সংশোধন, দেশের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য চালু, বিভিন্ন মার্কিন পণ্য আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য চালুর বিষয়ে সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং বিশ^মানের রপ্তানি পণ্য তুলনামূলক কম মূল্যে সরবরাহ করতে বাংলাদেশ সক্ষম। রেজা