রপ্তানি বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে : অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চার-পাঁচটি পণ্য নিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। পণ্য বৈচিত্রকরণে কাজ করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (বিডার)-এর অধীনে পৃথক একটি উইং খোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিডা’র চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বকে মাথায় রাখতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগাতে হবে। জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের জনশক্তি যদি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি, এরাই হবে বড় শক্তি। স্থানীয় শিল্পের জন্য অবারিত দরজা খুলে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভেরি আনফোরচুনেটলি এফডিআই’র পরিমাণ আমাদের কম। যেসব জায়গায় ঘাটতি রয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। ভিয়েতনাম যেভাবে পেরেছে সেভাবে আমাদের করতে হবে। তবে যে ভৌত অবকাঠামোগুলো আমরা তৈরি করেছি, এর ফলে এখন বিনিয়োগ আসবে। দেশি বা বিদেশি সব বিনিয়োগকারী আমাদের কাছে সমান। যারা বিনিয়োগ করবে তারাই আমাদের সম্পদ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। সে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদের বিনিয়োগ আনতে হবে। শুধু বিদেশি না, দেশি বিনিয়োগও আনতে হবে। দেশি বিনিয়োগ আসলেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবে। এজন্য বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিডা) আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, বিডা যে কাজটি করেছে সেটা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’। আরও জরুরি হলো ওয়ান স্টপ সার্ভিস। এটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের বিনিয়োগকারী যারা আছেন তারা আগ্রহী হবেন। কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সহজেই সমাধান করা যায়। এখন সরকারি সেবাটা যদি অনলাইন সার্ভিস করা যায় তাহলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। ইতিমধ্যে অনলাইনে রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় সফলতা পেয়েছি। ফলে যদি চাই অবশ্যই আমরা এটা করতে পারি। এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছি কারণ লোকজন বুঝে উঠতে পারেনি। তাদের মানসিকতা এখনও পরিবর্তন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো করা হচ্ছে। বিশেষ করে ৩০ হাজার একর জমিতে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের মেগা প্রকল্প হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর অনেক উন্নত হয়েছে, পতেঙ্গায় ‘বে টার্মিনাল’ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের গভীর সমুদ্রবন্দর নেই। মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে সেটা সম্পন্ন হলে দেশে অবকাঠামো খাতে অনেক পরিবর্তন আসবে। ফলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পৌঁছানোর জন্য যা যা করা দরকার করা হচ্ছে। বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সহায়তার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিনিয়োগ বিকাশের জন্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি প্রয়োজন, বর্তমানে যারা উদ্যোক্তা তারা নিজেদের চেষ্টায় হয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা সম্ভব। নতুন বিনিয়োগকারী সৃষ্টির জন্য বিডা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ৬৪ জেলায় বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছি। রেজা