তিন বছরে সর্বোচ্চ দর থাই রাবারের
মুসা আহমেদ : করোনা মহামারীতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জমের চাহিদা বেড়ে যায় বিশ্বজুড়ে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বে থাইল্যান্ডের রাবার গ্লাভসের চাহিদাও দাঁড়ায় আকাশচুম্বী। ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর কল্যাণে বেড়ে যায় দেশটির রাবারের দর। যা তিন বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড। রোববার এক বিবৃবিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকারি রাবার উৎপাদন সংস্থা আরএওটি। জিনহুয়া
সংস্থাটি জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও রাবার গ্লাভসের চাহিদা এখনও সর্বোচ্চ যাচ্ছে। ফলে কেজিপ্রতি রাবার স্মোকড শিটের দর ছাড়িয়েছে ৬০ বাতে। যা বিগত তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ঘটনা।
এ বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টে উপ-সরকারি মুখপাত্র রাচাডা ধ্নাদিরেক বলেন, রাবার দর বাড়তে থাকায় থাই রাবার চাষীরা এখন অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছ। এসব পণ্য চাষে তাদের আগ্রহ ব্যপক বেড়েছে। এরইমধ্যে চীনা রাবার গ্লাভস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এসব পণ্য ক্রয়ে ব্যাপক চাহিদার দেখা মিলেছে। ইতিমধ্যে বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীন। লকডাউনের পর বেশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে দেশটির বাণিজ্যিক কর্মকা-। ফলে থাই রাবার আমদানিও বাড়িয়েছে শি জিনপিংয়ের এ দেশটি।
বর্তমানে দেশটির কৃষি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আরএওটি জানায়, দাম বাড়ায় রাবারের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্ববাজারে বাবারের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, বিশ্ববাজার ধরে রেখে মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে নির্ভরশীল নেটওয়ার্ক শৃঙ্খলের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো রাবারের নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরে থাই রাবার গ্লাভস রাপ্তানি বেড়েছে ৮ থেকে ১৫ শতাংশ। চলমান পরিসংখ্যানে মালয়েশিয়ার পরেই রাবার গ্লাভস রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ড। রেজা