সাইবার নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠায় খরচ হবে ২৫ কোটি টাকা
এস ইসলাম জয় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাত্যহিক ও দাপ্তরিক কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। ইন্টারনেটের এই যুগে সাইবার স্পেসে ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র উভয়কে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া, ই-মেইল অথবা অ্যাপস ব্যবহারে অসতর্কতা, ভুয়া খবর, ফিশিং, অনলাইনে অনিরাপদ আর্থিক লেনদেনের কারণে প্রতিনিয়তই বিপদে পড়তে হচ্ছে নানা শ্রেনিপেশার মানুষকে।
স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তির যে কোন নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপর বর্তায়। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ৫ অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর “ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি” গঠন করে আইসিটি বিভাগ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ১২ অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি নিরাপদ ডিজিটাল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সাধন, প্রয়োজনীয় সহায়তা ও নির্দেশনা প্রদান করাই ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র উদ্দেশ্য।
বর্তমানে এজেন্সি’র কোন নিজস্ব জনবল নেই। সূত্র বলছে, এজেন্সি’র মূল এবং বিভাগীয় কার্যালয়ে চালুকরণের লক্ষ্যে ১০২১ জনের জনবল কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। এজেন্সির কার্যালয় স্থাপনে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈর এ ৩শ একর জায়গা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধিমালা, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে । ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতার জন্য কম্বোডিয়া কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম, জেনারেল ডির্পামেন্ট অব আইসিটি, কলম্বিয়া-এর সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আইনে উল্লিখিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা, নীতিমালা, গাইডলাইন, এসওপি ইত্যাদি প্রনয়ণের কার্যক্রম চলছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি “ডিজিটাল নিরাপত্তা অন-লাইন কোর্স ” নামক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স মুক্তপাঠ প্লাটফর্মে চালু করেছে। এখানে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার প্রশিক্ষনার্থী কোর্সটি সম্পন্ন করেছে। গুজব, মিথ্যা তথ্য, ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এলআইসিটি প্রকল্পের সাথে যৌথভাবে ‘আসল চিনি’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিজিটাল হাইজিন বিষয়ে একটি সহায়িকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গুজব, ফ্যাক্ট চেকিং, স্প্যাম, ম্যাল-ইনফরমেশন, সোস্যাল মিডিয়া যাচাইকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদকর্মী, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৩৫০ জনকে অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিভাগ। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব