পোশাক খাত প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে : বিজিএমইএর সভাপতি
শাহীন মোল্লা : করোনা মহামারি শুরুর দিকে স্থবির হয়ে পড়ে বৈশ্বিকসহ দেশের অর্থনীতি। তবে দিন যত যাচ্ছে সেই মন্দা অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করছে রপ্তানি পন্য পোশাক খাত ও বিদেশে অবস্থারত প্রবাসীদের বৈদেশিক আয়। সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি বেশ আশাব্যাঞ্জক। এপ্রিল-মে মাসের তুলনায় বর্তমানে অর্থনীতির পরিস্থিতি অনেক ভালো।
পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক এপি বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মার্চ-মে সময়ের খারাপ সময় কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ক্রেতাদের সফলভাবে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই বাতিল হওয়া ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয় আদেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই ফিরে পাওয়া গেছে।
পোশাক রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার আয় করে। আর এই পোশাকের বেশিরভাগ ক্রেতাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যেখানে শীর্ষে রয়েছে চীন। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে প্রায় ৮৩ শতাংশ কমে ৫২ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল, সেখানে জুলাই মাসে তা দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৩৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া মে-জুন সময়ে আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ।
সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে রপ্তানি এক বছর আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ২৯৬ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যেখানে মূল অবদান পোশাক খাতের। জুলাই ও আগস্ট মিলিয়ে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫৭০ কোটি ডলারের।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, পোশাক খাত ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের কৃষি খাতও ভালো করছে। রেমিট্যান্স আসছে। এই সবই অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছেন, যথাযথ অর্থনৈতিক প্রণোদনা এবং সামাজিক সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার ভালোভাবে সংকট সামাল দিয়েছে ।
তিনি বলেন, রপ্তানি ও রেমিটেন্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক এবং আশা করছি অর্থনীতির এই ঘুরে দাঁড়ানো হবে টেকসই, যা প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের সহায়ক হবে। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট