সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে, রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার : ব্যবসায়ীদের অভিমত
শাহীন খন্দকার, দীপক পত্র নবীশ : বালুমহালের ব্যবসায়িদের দাবি, নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলা দেশের রাজস্ব জোনগুলোর মধ্যে অন্যতম। চলতি বছরে সরকারি কোষাগারে ৭-১২ গুন রাজস্ব আদায় হয়েছে। নতুন চুক্তিপত্র অনুযায়ী দাম বাড়ানোর কথা থাকলেও ইজারাদাররা মূল্য বাড়ায়নি। ফলে সরকারি সব উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ইজারাদার বালু-ব্যবসায়ী ভান্ডারীদের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঙ্খিত খাজনার ৪ ভাগের ১ ভাগও পাচ্ছেন না। ফলে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, ইজারাদাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে। নতুন টেন্ডারের আহবান করলেও কাঙ্খিত ইজারামূল্য পাবে না। জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকার যাতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত না হন। ইজারাদারগণও ক্ষতির সন্মুখীন না হয়। সেদিকে নজর রেখে আগামী দিনের টে-ার বাস্তবায়নের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন-কানুনের মাধ্যমে দ্রুত সব কিছুর সমাধান করা হবে। ইজারাদারদের দাবী আগামী টেন্ডারে সরকার যেনও অধিকতর রাজস্ব পায় এবং ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীবৃন্দুরা। কারণ মেগা প্রকল্পগুলোতে বালু ও নুড়ি বালুর ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও পর্যাপ্ত উত্তোলন না থাকায় এবং যান চলাচলে বিচ্ছিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইজারাদার বলেন, এর আগে বালু সংক্রান্ত সভায় তাদের বক্তব্যের কোনো রেজুলেশনই আসেনি। সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না, বরং কাটছাঁট করা হয়। ফলে সবাইকে সভায় ডাকা হলেও কোনো সুফলতা পাওয়া যায় না।
দূর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে সোমেশ্বরী নদীর বালুমহল থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হয়েছে। বালু মহলের ডাকের অর্থ কম হওয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিবেন, ভূমি মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসকের উর্ধোতন কর্মকর্তাগণ। তবে জনস্বার্থে ডাইবেশনের প্রয়োজন হলে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ণ বোর্ডও জেলা প্রশাসকের বিশেষ উদ্যোগে কামাড়খালিসহ বড়ৈকান্তি ও ভবানীপুরে সোমেশ্বরী নদীর পাড় ব্লোকবাধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা : শোভন দত্ত